মাদারীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে সাবেক এক ইউপি সদস্য ও তার ছেলে। আজ সোমবার সকালে সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, কুনিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জলিল মোল্লা (৬৫) ও তার ছেলে হেলাল মোল্লা (৩৫)।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, সোমবার সকালে সাবেক ইউপি সদস্য জলিল মোল্লা তার ছেলে হেলাল মোল্লা ও মেয়ে জামাই জামাল মোল্লাকে সাথে নিয়ে আরেক ছেলে দুলাল মোল্লার বিয়ের বাজার করতে মস্তফাপুর যায়। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে পেয়ারপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদারের সমর্থকরা তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সাথে থাকা বিয়ের বাজারের ৫ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
জলিল মোল্লার মেয়ের জামাই জামাল মোল্লা বলেন, ‘আমরা বাজার করতে গেলে হঠাৎ করে চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদারের লোকজন খোকন হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার, ইদ্রিস চৌকিদারের ছেলে সাদ্দাম চৌকিদার, সৈয়দ আলী হাওলাদারের ছেলে নাজমুল হাওলাদার, সিরাজ চৌকিদারের ছেলে সাদ্দাম চৌকিদারসহ আরও বেশ কয়েকজন রাম দা, ছেন আর চাইনিজ কুড়াল নিয়ে আমার শ্বশুর ও ভাইয়ের উপর হামলায় চালায়। আমরা এই ঘটনায় প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। ‘
জলিল মোল্লার ভাগ্নে আলিম বেপারী বলেন, ‘আমার মামাকে আর মামাতো ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে। তাদের উপর যারা এভাবে হামলা চালিয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। ‘
তবে অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে পেয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদার বলেন, ‘আমার বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার জানামতে আমার কোন সমর্থক তাদের ওপর হামলা চালায়নি। ‘
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাওলীন আফরোজ বলেন, দু’জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় এখানে নিয়ে আসা হয়েছিলো। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘শুনেছি পেয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদারের লোকজন সাবেক ইউপি সদস্য জলিল মোল্লার উপর হামলায় চালিয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।