ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস- ২০২২ উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী সমূহ পাঠ করেন কনস্যুলেটের কর্মকর্তাবৃন্দ। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং শান্তির জন্য বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে সকালের কর্মসূচি শেষ হয়।
অনুষ্ঠানের ২য় ভাগে, কনস্যুলেটের কনফারেন্স হলে, তুরস্কের মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীবৃন্দের অংশগ্রহণে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনার শুরুতে, কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলমের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলম তার বক্তব্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ, যাদের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিজয়ের এই ৫১ বছরে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রায় সকল সূচকে বাংলাদেশ আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করেছে, কনসাল জেনারেল মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সফলতার গল্প আজ বিশ্বব্যাপী প্রচারিত ও প্রশংসিত। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে, যা অনেক দেশের কাছে উন্নয়নের রোল-মডেল ও প্রেরণার উৎস। সরকারের সময়োপযোগী নীতি-পরিকল্পনা ও জনবান্ধব উদ্যোগ এবং জনগণের প্রচেষ্টা, দক্ষতা, সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী শক্তির কারণে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে, কনসাল জেনারেল মন্তব্য করেন।
কনসাল জেনারেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে আহবান জানান। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরকার অনুমোদিত পথে রেমিট্যান্স পাঠানো ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেন। অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক সামনের দিনগুলিতে আরো সুদৃঢ়, প্রসারিত ও অর্থবহ হবে বলে, আলোচকবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলোচনার শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনা ও দেশপ্রেমের কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়, যা উপস্থিত দর্শকদেরকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করে।