পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সীমান্ত হত্যা কম। সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে কাজ করছে দুই দেশ। এ নিয়ে সম্প্রতি এক বৈঠকে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একমত হয়েছেন। সীমান্তে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর তিনি জোর দেন।
তবে এ বছর কতজন বাংলাদেশি সীমান্তে হত্যার শিকার হয়েছেন তা উল্লেখ করেননি তিনি।
আজ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট চার্চ অব গড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্লটিনাম জুবিলি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
লালমনিরহাট সীমান্তে বিভিন্ন সময়ে হত্যাকান্ডের শিকার ছয় বাংলাদেশির মরদেহ ভারতের বিভিন্ন হিমাগারে পড়ে রয়েছে। নিহতদের লাশ কবে নাগাদ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই।
তিনি বলেন, আমি নিজেও সীমান্তবর্তী একটি আসনের সংসদ সদস্য। পদ্মার ওপারে ভারত এপারে আমার নির্বাচনী এলাকা। সীমান্তে হত্যা বন্ধের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। দুই রাষ্ট্রের বিধি-বিধান রয়েছে যাতে ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া কেউ না যান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবারে একজন সদস্য বাংলাদেশি ও আরেকজন ভারতীয়, এরকমও কিন্তু আছে। এ বছরে নিশ্চিত করে বলতে পারি ২০ থেকে ২১ সালের চেয়ে সীমান্তে এ বছর সীমান্ত হত্যা কম। তবে আমরা বলবো একটা মৃত্যুও চাই না।
বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সালেহ বিন সামস, জেলা পরিষষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের মিশন মোড় এলাকা ঘুরে প্রতিষ্ঠানে এসে শেষ হয়।