রাশিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আগামী রোববার (১৮ ডিসেম্বর) কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে কিলিয়ান এমবাপেদের বিপক্ষে মাঠে নামবে লিওনেল মেসিরা। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
কাতারের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ৮৮ হাজার ৯৬৬ জন।
বিশ্বকাপ ফাইনালের ভেন্যু লুসাইল স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত ৯টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনাল ম্যাচটি হলে এই মাঠে ১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তবে ফিফা বলছে, নির্দিষ্ট ম্যাচের জন্য ধারণক্ষমতায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে।
আর লুসাইলে চ্যাম্পিয়ন দলের সোনালি ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মধ্য দিয়েই শেষ হবে এবারের বিশ্বমঞ্চের ফুটবল আসর। তবে ফাইনালে মাঠ ও মাঠের পরিবেশ বিবেচনায় ফরাসিদের তুলনায় কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে লে আলবিসেলেস্তেরা। কারণ, ফাইনাল নিয়ে মেসিরা এই মাঠে মোট পাঁচবার খেলবে। এই মাঠ ও মাঠের পরিবেশের সঙ্গেও মানিয়ে নিয়েছেন কোচ লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
যদিও বিশ্বকাপের চলতি আসরে এই মাঠেই প্রথম অঘটনের শিকার হয়েছিল আর্জেন্টাইনরা। সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোল ব্যবধানে হেরেছিল হট ফেভারিটরা। ‘সি’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে এই মাঠেই খেলেছিল লে আলবিসেলেস্তেরা। ওই ম্যাচে ২-০ গোলে মেক্সিকোকে হারিয়েছিল দুবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
গ্রুপ পর্ব ছাড়াও ভাগ্যক্রমে আরও দুবার এই মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা দল। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ২-২ গোল ব্যবধানে ড্র হলে টাইব্রেকারে ডাচদের ৩-৪ ব্যবধানে হারায় কোচ স্কালোনির শিষ্যরা। এ ছাড়া শেষ চারের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোল ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।
অন্যদিকে এবারই প্রথমবার এই মাঠে নামবে লা ব্লুজরা। তাই স্বাভাবিকভাবে বলাই যাচ্ছে, ফ্রান্সের জন্য এই মাঠ একেবারেই নতুন। মাঠ ও মাঠের কন্ডিশনের বিবেচনায় মেসিদের তুলনায় কিছুটা ভোগান্তিতে পরতে হতেই পারে ফরাসিদের।
আর্জেন্টিনা ছাড়াও ব্রাজিল, পর্তুগাল, সার্বিয়া, উরুগুয়ে, ক্যামেরুন, সুইজারল্যান্ড এই মাঠে খেলেছে।