আজ বাঙালি জাতির গৌরবের দিন। প্রতিবছরের মতো এবারও বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নেমেছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ।
শুক্রবার সকাল থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে এমন চিত্র দেখা যায়।
শিশু থেকে বৃদ্ধ অধিকাংশের হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা। বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ প্রচুর মানুষ ।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করতে থাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবীসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। একে একে শ্রদ্ধায় সিক্ত হতে থাকে শহীদ বেদি।
সাভারের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন মন্ডল শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন। তিনি বলেন, আজ স্মৃতিসৌধে গণমানুষের ঢল নেমেছে। সবাই একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। আমি আমার সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হয়ে বেঁচে আছি। কিন্তু আমার সহযোদ্ধারা এই স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে জীবন দিয়েছেন। তাঁরা স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেননি। আজ তাঁরা সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধায় সিক্ত। এটাও আমার কাছে বড় পাওয়া।
স্থানীয় পোশাক শ্রমিক আব্দুস সালাম বলেন, আমরা দিনভর কারখানায় কাজের চাপে থাকি। বছরে দুবার আমরা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা বীর শহীদদের স্মরণ করার সুযোগ পাই। আজ তাই পুরো পরিবার নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এখানে এলেই গর্বে বুকটা ভরে যায়।
গাজীপুর থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা শাহীন বলেন, আমরা যুদ্ধ করতে পারিনি। কিন্তু যাঁরা যুদ্ধ করেছেন, দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা প্রয়োজন। তাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এখানে আমি প্রতিবারই আসি।