ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বুধবার ভোরে বিস্ফোরণে শব্দ পাওয়া গেছে। কিয়েভ মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ১৩টি ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে কিয়েভ কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।
ক্লিৎসকো বলেছেন, ‘মধ্য কিয়েভের জেলা শেভচেনকিভস্কি ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। সেখানে জরুরি পরিষেবা পাঠানো হয়েছে। ’
বিমান হামলায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে বলে নিশ্চিত কিয়েভ গভর্নর কুলেবা। বুধবারের ভোরের হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিমান হামলা রোধে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে। বর্তমানে নিরাপদ স্থানে থাকায় শ্রেয়। রাশিয়া আমাদের বিদ্যুৎ স্থাপনায় জঙ্গি হামলা অব্যাহত রাখবে। তবে আমরা প্রতিদিন শক্ত হচ্ছি। ’
কিয়েভ প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী বুধবার ভোরে ইরানের তৈরি ১৩টি ‘শাহেদ’ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে একটি ড্রোন কিয়েভের প্রশাসনিক ও চারটি আবাসিক ভবনে আঘাত হেনেছে। ’ তবে এসব হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে জরুরি পরিষেবার এক মুখপাত্র।
কিয়েভের বিবিসির সংবাদদাতা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়ার কথা জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, বিমান হামলার সাইরেন বাজার পরই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
গত অক্টোবর থেকে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া। এসব হামলায় তাদের মূল লক্ষ্যবস্তু বিদ্যুৎ অবকাঠামো।
ইউক্রেনে হামলার জন্য রুশ বাহিনী ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করে আসছে কিয়েভ। বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে যেয়ে ড্রোন দেওয়ার কথাটি স্বীকার করে তেহরান। ওই সময় তারা বলেছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কয়েক মাস আগে মস্কোকে বেশ কিছু ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, তেহরান মিথ্যে বলছে। হামলার জন্য ধারণার চেয়ে বেশি ইরানি ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইউক্রেনীয়দের মনোবল ভাঙতেই কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এসব হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করছে বিশ্ব নেতারা। তবে গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদোমির জেলেনস্কি বলেন, ‘ক্রিমিয়ার কার্চ ব্রিজে হামলার জেরে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। ’