চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সোর্স তারিক হোসেনকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা তিনি যান।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহ ৫৮ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল শাহিন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত তারিক উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের রবগুল হোসেনের ছেলে।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল হক মিল্টন জানান, তারিক হোসেন বিজিবির সোর্স হিসেবে কাজ করদেন। এরই জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর সীমান্তের ৬৮ নং মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত থেকে ফেনসিডিল আনার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল কয়েক জন মাদক কারবারি। এ সময় সেখানে তারিককে দেখতে পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে কারবারিরা। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।
ঝিনাইদহ ৫৮ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল শাহিন আজাদ জানান, আমাদের কাছে সীমান্ত এলাকার অনেকেই চোরাচালানদের তথ্য দিয়ে থাকেন। নিহত তারেক তাদের মধ্যে একজন। আসলে তথ্য সরবরাহকারীরাও চোরাকারবারির সঙ্গেই জড়িত থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে মাদক চোরাকারবারির দুই-গ্রুপের দ্বন্দ্বে ওই ঘটনা ঘটেছে।