মিশ্র জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে ২০৩০ সালের আগে নতুন কোনো পরিকল্পনা নেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) জাপানের দাতা সংস্থা জাইকা আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব জানান। এতে অংশ নেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন কোম্পানির প্রধানরা।
উপদেষ্টা বলেন, যেসব প্রকল্প চলমান তা শেষ হওয়ার পর নতুন কিছু নিয়ে পরিকল্পনা করা যাবে।
২০৩০ সালের পর হাইড্রোজেন, ক্ষুদ্র রিয়াক্টরে পরমাণু বিদ্যুৎ, কার্বন ক্যাপচারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। উন্নত অনেক দেশ কয়লা থেকে সরে ক্লিন এনার্জির দিকে যাচ্ছে। তবে সেটি এখনই বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।
এসময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, তিন মাস পর পর জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের কথা ভাবছে সরকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম খোলা বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিশ্ববাজারে সাথে তাল মিলিয়ে দাম সমন্বয় হবে।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দামের বিষয়টি বিইআরসির উপর নির্ভর করবে। তারা যদি বিবেচনা করে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নেই, তাহলে বাড়বে না।