রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন,‘ পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে। তবে আমরা এতটা পাগল হয়ে যায়নি যে প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবো। ’ খবর বিবিসির।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দেশটির নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকার কাউন্সিলের বার্ষিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় হামলার জবাবে শুধুমাত্র গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়ে এই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া হতে পারে। ’
অন্যদিকে পশ্চিমাদের ধারণা, দ্রুত সময়ের মধ্যে যুদ্ধে জয়লাভের জন্য বিরাট এক পরিকল্পনা করছেন পুতিন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এরপরেই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। তবে ইতোমধ্যে ইউক্রেনের অনেক অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
অন্যদিকে পিছিয়ে পড়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। এসব হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো। এতে করে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ছে ইউক্রেনীয়রা। এমনকি যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিও বার বার দিচ্ছেন পুতিন প্রশাসন। এর জেরে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষমতা বৃদ্ধি তদন্তের আওতায় এসেছে।
বুধবারের সভায় পুতিন জোর দিয়ে বলেন, ‘রাশিয়া কোনো অবস্থাতেই প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে কাউকে হুমকি দেবে না। ’
‘আমরা পাগল হয়ে যায়নি। আমরা পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে সচেতন। আমরা এই অস্ত্রটিকে ব্যবহার করে সারা বিশ্বকে দৌড়াতে যাচ্ছি না,’ যোগ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি উন্নত প্রযুক্তির ও কৌশলগত অস্ত্র রাশিয়ার কাছে আছে জানিয়ে পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক এবং উন্নত পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। অন্যদের চেয়ে রাশিয়া অনেক এগিয়ে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি ভূখণ্ডে আমাদের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে। তুরস্ক, ইউরোপীয় দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। ’
বিবিসি বলছে, ইউক্রেন আক্রমণের কয়েক দিনের মধ্যে বিজয় দাবি করার পরিকল্পনা করেছিল পুতিন। তবে তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। এমনটা স্বীকার করে তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ দীর্ঘ হতে পারে। ’
তবে ইউক্রেন যুদ্ধের ফলাফলগুলোকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে যেসব ফলাফল এসেছে তা উল্লেখযোগ্য। ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল আমাদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গোটা আজভ সাগর আমাদের ভূখণ্ডে এসেছে।