কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে ইরানে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভ এখনও চলমান রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশটির পুলিশ বাহিনী। এমনকি অনেককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। খবর আল-জাজিরার।
দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশব্যাপী চলা বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। প্রথম বন্দি হিসেবে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তির নাম মহসেন শেখারি। রাজধানী তেহরানের সড়কে একটি বড় ছুরি নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করেন তিনি। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য গুরুত্বর আহত হন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট বিবাদীর করা আপিল প্রত্যাখ্যান করেছে। তার কার্যকলাপকে ‘ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর অপরাধ’ হিসেবে উপস্থাপন করে সাজাকে ন্যায্যতা দিয়েছে।
হিজাব আইন ভঙ্গ করার কারণে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। আটকের পর পুলিশি হেফাজতে ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর প্রতিবাদে ইরানে তুমুল বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। বিক্ষোভ রুখতে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। বিক্ষোভ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড।
এ দিকে গ্রেপ্তারকৃত বিক্ষোভকারীদের বিচারে কঠোর অবস্থানের দেখানোয় গত সোমবার বিভাগটির প্রশংসা করেছে অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ড। একই সঙ্গে জাতি ও ইসলামের নিরাপত্তার অভিযোগে অভিযুক্তদের দ্রুত রায় বাস্তবায়ন করতে আহ্বান জানিয়েছে।
ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র মাসৌদ সেতাইয়াসি গত মঙ্গলবার বলেছেন, আধাসামরিক বাহিনী বাসিজের সদস্যকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে মৃতু্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করতে পারবে।