ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আমানকে আটক করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারকে আমানের হাত ধরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এর আগে বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীকে আটক করে পুলিশ।
তার আগে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, এবং প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীরকে আটক করা হয়। এছাড়া অন্তত ৩০ জন কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
নয়াপল্টনে বুধবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় এক জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে অন্তত ১৬ জন।
ঘণ্টা দেড়েকের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। বিকেলে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের জটলা বেশি ছিল। এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। আব্বাসের সঙ্গে অনেক নেতা-কর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হন।
বিএনপির সমাবেশ নিয়ে রাজনীতি অঙ্গনে তুমুল আলোচনা চলছে। বিএনপি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়। অন্যদিকে সরকার সেখানে সমাবেশ করতে দিতে নারাজ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে বিএনপি বলছে, তারা সেখানে সমাবেশ করবে না। বিকল্প হিসেবে তারা আরামবাগের কথা বললেও পুলিশ বলছে রাস্তায় কোনোভাবেই সমাবেশ করা যাবে না।