পটুয়াখালীর গলাচিপায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকে মিথ্যা রাজাকার পুত্র বলে এলাকায় প্রচার করায় কোটি টাকার মানহানী মামলা হয়েছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ গাজী (৬৪) সোমবার গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে একই এলাকার গাজী মস্তফা কামাল (৬৬), মো. হাদী গাজী (৫০), মো. জালাল উদ্দিন গাজীসহ (৭০) মোট ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইন চার্জকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি/সম্পাদক বরবরে ডাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ গাজীকে রাজাকার পুত্র উল্লেখ করে তাকে অবিলম্বে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের দাবি করে একই এলাকার গাজী মস্তফা কামালসহ উপরোল্লেখিত সকল আসামিগণ একটি লিখিত অভিযোগপত্র দায়ের করেন। অভিযোগপত্রের সঙ্গে আসামিগণ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধীদের গলাচিপা উপজেলার একটি তালিকা দাখিল করেন। যা আসামিগণ জালজালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন।
উক্ত তালিকার ৩৮ নম্বরে প্রকৃত রাজাকার শাহজাহান সিকদারের নাম এডিট করে আসামিগণ বাদীর পিতার নাম প্রতিস্থাপন করেছেন এবং উক্ত তালিকায় তৎকালীন ইউএনও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের স্বাক্ষর ও সীল স্ক্যান করে জালিয়াতির মাধ্যমে আসামিগণ ব্যবহার করেছেন। এ ব্যাপারে মো. হানিফ গাজী বলেন, মস্তফা গাজীসহ সকল আসামিগণের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত আমাদের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। মস্তফা গাজী বিএনপি থেকে এসে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে আমাকে মিথ্যা রাজাকার পুত্র বলে এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে আমার সম্মানহানী করেছে।