যুদ্ধের ময়দানে রুশ বাহিনীকে রুখতে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (এম-১৪২ হিমার্স) সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়াশিংটন থেকে কিয়েভকে যেসব হিমার্স দেওয়া হচ্ছে এর সবগুলোই ক্ষমতাসম্পন্ন অর্থাৎ সংশোধিত (মোডিফাইড)। এমনকি কিয়েভ অন্য কোথাও থেকেও যেসব হিমার্স সংগ্রহ করছে সেগুলোকেও সংশোধন করছে ওয়াশিংটন। এতে করে দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারছে না এই রকেট সিস্টেম।
এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। খবর আরটির।
গত জুন থেকে এম-১৪২ প্রযুক্তির ২০টি হিমার্স ইউক্রেনকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া জিএমএলআরএস ক্ষেপণাস্ত্র ও অস্ত্র দিয়েছে ওয়াশিংটন। এর মধ্যে জিএমএলআরএস ৮০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৩০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম দূরপাল্লার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ক্ষেপণাস্ত্র চাচ্ছে ইউক্রেন। তবে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হোয়াইট হাউস। মূলত রুশ ভূখণ্ডে আঘাত না হানার জন্যই এমনটা করছে তারা। বিকল্প কোনো জায়গা থেকে এটিএসিএমএস সংগ্রহ করতে পারলেও কিয়েভ যেন তা ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য সেগুলো সংশোধন করে দেওয়ার পক্ষে ওয়াশিংটন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউক্রেনে পাঠানোর আগে হিমার্সগুলোর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়ারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে করে দূরের লক্ষ্যবস্তুতে সেগুলো আঘাত হানতে পারবে না। ’ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পেন্টাগন ও কিয়েভ।
ওয়াল স্ট্রিটের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে আঘাত করবে না ইউক্রেন এমন প্রতিশ্রুতি ভাঙতে পারে কিয়েভ, সেজন্যই এমনটা করছে বাইডেন প্রশাসন।
ওয়াশিংটনের অস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালালে এর পরিণতি খারাপ হবে বলে আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে মস্কো। এমনটা হলে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়ানো হবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে ক্রেমলিন। ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বলছে, তারা যুদ্ধের পক্ষে নয়।
এর আগে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনিও ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, হিমার্স দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালাবে না এমন আশ্বাস দিয়েছে ইউক্রেন।