মোহনা টিভির পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ও যুগান্তরের গলাচিপা ( দক্ষিণ ) প্রতিনিধি সোহাগ রহমান(৪২) সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলার পোষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে। পরে হামলাকারী মারুফ মোহাম্মদ ইভান(৩৭) ও তানভীর মোহাম্মদ আকিদকে(২৮) ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আহত সোহাগ বর্তমানে গলাচিপা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত সোহাগের সহকর্মী রিপন বিশ্বাস ও হাফিজুর রহমান ঘটনার বরাত দিয়ে বলেন, রোববার শেষ সন্ধ্যায় তিন সহকর্মী মিলে পোষ্ট অফিসের সামনে বসে গল্প করছিল।
এসময় মারুফ সোহাগকে ব্যাঙ্গ করে ডাকে। এতে সোহাগ ও সহকর্মীরা সারা না দিলে মারুফ পেছন থেকে এসে হামলা শুরু করে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে মারুফের ছোট ভাই তানভীর ভাইয়ের সঙ্গে হামলায় অংশ নিয়ে মারধোর করেন। এতে সোহাগের বাম চোখ এবং বাম চোয়ালে রক্তাত্ব জখম হয়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে এএসআই সজিব ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে দুই ভাইকে আটক করেন। বর্তমানে দুই ভাই পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। সোহাগের পরিবার জানায়, প্রতিবেশি ভাংগারী মনিরের সঙ্গে সোহাগের অভ্যন্তরীন বিরোধ চলে আসছে। ভাংগারী মনিরের সঙ্গে তানভীর ও মারুফের পরিবারের সঙ্গে যথেষ্ট সখ্যতা রয়েছে। সেই সূত্রে তারা হামলা করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এই হামলার এক সপ্তাহ পূর্বে মারুফ-তানভীরের মা মনিরা বেগম সোহাগের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীকে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসেন। মায়ের হুমকী-ধামকীর এক সপ্তাহের মাথায় মারুফ ও তানভীর হামলয় লিপ্ত হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন বলেন, আহত সাংবাদিক সোহাগ চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণকরা হয়েছে।