নাগরিক হিসেবে যে সব সুবিধা পাওয়ার কথা, তার সিকি ভাগও ১০ বছরে বাস্তবায়ন হয়নি রংপুর সিটিতে। ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এখনো পাননি উন্নত নাগরিক সুবিধা। নেই ড্রেনেজ সুবিধা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাও নাজুক। এতে ক্ষুব্ধ নগরের বাসিন্দারা।
তবে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার দু’ধারে যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা। একমাত্র ডাস্টবিনটির কার্যকারিতা যেন সিটি করপোরেশনের লোগোটির মতই ঝাপসা। তাই শহরের মোড়গুলোই হয়ে উঠছে ময়লার ভাগাড়। এখানেই নগরবাসীর ভোগান্তি শেষ নয়। নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ স্থানেই তা ভেঙে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে করা হয়নি কোনো সংস্কার।
রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্ধিত অংশের এমনই করুণ দশা। এতে ক্ষুব্ধ রংপুর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, নিয়মিত কর দেওয়ার পরও নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন না তারা। অভিযোগ করা হলে শুধুই আশ্বাস মেলে।
সচেতন মহল বলছে, বর্ধিত ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ব্যবস্থা পুরাতন ওয়ার্ডগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে করতে হবে। নতুবা তা জলাবদ্ধতার কারণ হবে।
এমন প্রশ্নে এবারও যথারীতি মিলেছে আশ্বাস। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মিঞা বলেন, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।