সুইডেনে আশ্রয় নেয়া ইউক্রেনীয় নারী শরণার্থীরা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে যা চোখে পড়ছে না জাতিসংঘের। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। খবর আরটির।
গত মাসে সুইডেনের জেন্ডার ইকুয়ালিটি এজেন্সি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
যেখানে বলা হয়, সুইডেনে আশ্রয় নেয়া ইউক্রেনীয় নারী শরণার্থীরা মানব পাচার, শ্রম শোষণ ও পতিতাবৃত্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, পুলিশ এমন ২০ টি কেসের তদন্ত করছে যদিও অনেক ঘটনা সামনে আসছে না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সুইডেনে ইউক্রেনীয় যৌনকর্মীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও দাবি করা হয় প্রতিবেদনে।মুখপাত্র জাখারোভা বলেন, প্রতিবেদনটি সুইস গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলেও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি কিয়েভ বা জাতিসংঘ। তারা এ বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে।
তিনি আরও বলেন, গত অক্টোবরে যৌন সহিংসতার বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেন দাবি করেছিলেন, রাশিয়ান সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে ধর্ষণকে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া ইউক্রেনীয় সাবেক মানবাধিকার কমিশনার লিউডমিলা ডেনিসোভাকের মন্তব্যকেও উদ্ধৃতি করেন মুখপাত্র। লিউডমিলা দাবি করেছিলেন, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনীয়দের ওপর যৌন নির্যাতন করছেন। যদিও পরে তিনি স্বীকার করেন বিশ্বকে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ প্ররোচিত করতেই তিনি এই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
জাখারোভা বলেন, ‘ইউক্রেনীয় নারীদের জন্য হুমকি নয় রাশিয়া, তবে তাদের জন্য আসল হুমকি অপেক্ষা করছে ইউরোপে। জাতিসংঘ এ বিষয়ে চুপ কারণ, ‘হয় আসল মানবাধিকার সমস্যা সমাধানে তাদের কোনো আগ্রহ নেই অথবা তারা রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। ’