ইসরায়েলের দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে সহযোগিতা করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত চার ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। রোববার ভোরের তাদের এই সাজা কার্যকর করা হয়েছে বলে দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলেছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের সঙ্গে কাজ করার অভিযোগে চার জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। এছাড়া গুপ্তচরবৃত্তি ও অপহরণের সাথে জড়িত থাকার দায়ে অন্য তিন অভিযুক্তকেও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দেশটির বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সরকারি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, রোববার ভোরের দিকে হোসেইন ওর্দৌখানজাদেহ, শাহিন ইমানি মাহমুদাবাদ, মিলাদ আশরাফি আতবাতান এবং মানুচেহর শাহবন্দি বোজান্দি নামের চার ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানে চিরশত্রু ইসরায়েল গোপন অভিযান পরিচালনা করে আসছে বলে অভিযোগ করেছে তেহরান।
হিজাব পরার বিধান লঙ্ঘনের কারণে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে মাহসা আমিনি নামের এক তরুণীর গ্রেপ্তার এবং মৃত্যুর পর গত সেপ্টেম্বরের মাঝের দিক থেকে দেশটিতে সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভ ঘিরে ইসরায়েলি এবং পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে ইরানে গৃহযুদ্ধে উসকানি দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে তেহরান।
১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর এবারই প্রথম সবচেয়ে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নেতৃত্বাধীন দেশটির ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী। ব্যাপক দমনপীড়নের মাধ্যমে ইরানি কর্তৃপক্ষ সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভ মোকাবিলার চেষ্টা করছে।
এর আগে, বুধবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশের সুপ্রিম কোর্ট ইহুদিবাদী ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাকে সহযোগিতা এবং ইরানি নাগরিকদের অপহরণের অপরাধে চার জনকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখায় রোববার ভোরের দিকে দেশটির একটি কারাগারে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ এই সাজা কার্যকর করা হয়।