গলাচিপা উপজেলার বিএনপি নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শেষ বিদায় জানালেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান খানকে। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় পুরাতন আদালত মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় পুরাতন আদালতের মাঠে। দশমিনায় নামখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩য় জানাজা, উলানিয়া আয়েশা জামে মসজিদে ৪র্থ জানাজা, গলাচিপা মাধ্যমিক বিদ্যালয় খেলার মাঠে ৫ম জানাজা সম্পন্ন হয়।সবশেষ চিকনিকান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ৬ষ্ঠ এবং তার নিজ বাড়ি ইউনিয়নে সুতাবাডড়িয়া ৭ম জানাজা শেষে রাতে পারিবারিক গোরস্তানে বাবা-মার কবরের দাফন সম্পন্ন হয়।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও রাজনৈতিক কর্মী রেখে গেছেন। গলাচিপা হাইস্কুল মাঠের জানাজায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান নান্নু।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য শাহজাহান খান রওনা দিয়েছিলেন। পথিমধ্যে তাদের ওপরে যারা হামলা করেছেন- তারা যদি মাটির ১০০ হাত নিচেও লুকিয়ে থাকেন তবুও তাদেরকে খুঁজে বের করা হবে। যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হবে অভিযুক্তদের। ‘আপনাদের নেতার যদি ২১ বছর পর বিচার হয়। আমাদের নেতারও বিচার একদিন হবে।’উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর বরিশালে দলের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে মোটরসাইকেলযোগে যাবার পথে রাতে পটুয়াখালীর শিয়ালীতে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার শাহজাহান খান।
এসময় তাকে বেদম মারধর করা হয়। পরে ২৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে সোমবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের দাবি, ওই হামলায় শাহজাহান খানের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।