রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

উত্তরের জনপদ সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে ফল চাষে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত

জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট।
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২
  • ৮৪ সময় দর্শন
বারি মালটা-১, দার্জিলিং কমলা, চায়না কমলাসহ বিভিন্ন ফলের ব্যাবসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে উত্তরের জনপদ সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে। কমলা ও মাল্টা চাষে অভাবনীয় সাফল্যে কোটি টাকারও বেশি ফল উৎপাদন হয়েছে এই জেলায়। এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানে শত শত মানুষের সুযোগ হয়েছে তেমনি স্বল্পমুল্যে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ ও উচ্চভিলাসী ভিনদেশী এসব ফল হাতের নাগালে কিনতে পারছেন এখানকার মানুষ। লালমনিরহাট সদর সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গা, মহেন্দ্রনগর, আদিতমারী, হাতিবান্ধা, পাটগ্রামে এসব এলাকায় গড়ে উঠেছে শত শত কমলা ও মাল্টা বাগান। এ বছর জেলায় এসব ফলের ভাল ফলন হওয়ায় কমছে আমদানি নির্ভরতা।
জেলার চাহিদা মিটিয়ে রংপুর বিভাগ ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এসব মাল্টা ও কমলা বিক্রি হচ্ছে। ন্যাযমূল্যে ও বাজারে ভাল মুল্য পাওয়ায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন কমলা ও মাল্টা বাগান মালিকরা। লালমনিরহাট নার্সারি ব্যবসায়ী একরামুল হক বলেন, গাছের প্রতি প্রেম থেকে নার্সারি ব্যবসা; একপর্যায়ে জমি লিজ নিয়ে ফল ফলাদির বাগান করতে শুরু করেছি। লালমনিরহাটের হাড়িভাঙায় বিমানবাহীনীর ৪ একর যায়গা লিজ নিয়ে দুই হাজারেরো বেশি মাল্টা ও ৫ শো কমলা গাছ লাগান সুযোগ হয়েছে। ৩ বছরের মাথায় গাছে ফল আসায় গত বছর ৭০ লাখেরও বেশি টাকার ব্যবসা করেছেন তিনি।
সমতল ভূমিতে সফল ফল বাগান করে লালমনিরহাট জেলায় তাক লাগিয়েছেন তিনি। এছাড়াও কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারীর বিভিন্ন স্থানে মোট ৮০ একর জায়গা জুড়ে ফল বাগান গড়ে তোলেন তিনি। কয়েক প্রজাতির কমলা, মালটা, ড্রাগনসহ বিভিন্ন ফলের বাগানে শূন্য হাতে আজ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি। তার এই ফল চাষে প্রায় দু শতাধিক যুব সমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। একরামুলের মতো জেলার আদিতমারী, হাতিবান্ধা, পাটগ্রামেও গড়ে উঠেছে মালটা ও কমলা বাগান। দৃষ্টিনন্দন বাগানগুলোতে ফুসরত পেলেই পরিবারসহ ঘুরতে আসছেন অনেকেই। ভিনদেশী উচ্চভিলাসী এসব ফলের সারি সারি গাছ ও গাছের রঙ্গীন ফল দেখে অভিভুত হচ্ছেন তারা।
বাগানগুলোতে কয়েকশ মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি জেলায় মালটা ও কমলার নতুন বাজার তৈরি হয়েছে। খুচরা ও পাইকারীভাবে বেচাকেনায় প্রতিবছর এসব বাগান থেকে কোটি টাকারও বেশি ফল উৎপাদন হচ্ছে। বাজার ভাল হওয়ায় ব্যবসার পরিধিও দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদের এই কর্মজঙ্গ দেখে অনেকেই আজ জড়িয়ে পড়ছেন মৌসুমি এ ব্যবসায়। মাল্টা বাগান ঘুরতে আসা স্কুল শিক্ষিকা সেতু বেগম জানান, লালমনিরহাটের মত যায়গায় এমন বাগান সত্যি প্রশংসার। আমাদের মনে হচ্ছে ভুটানে বেড়াতে এসেছে। খুবই ভাল লাগছে। এমন বাগান আরও হওয়া দরকার। বাগান মালিক একরামুল হক বলেন, ছোট বেলা থেকেই গাছের প্রতি ভালবাসা ছিলো তার। প্রথমে নার্সারি ব্যবসা, পরে ফল বাগান। এসব ফলের বাগান করে এখন অনেকটা লাভবান হচ্ছি।
দিন দিন বাগান বাড়ানোর চেস্টা করছি। এতে লাভের পাশাপাশি মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। সেই সাথে জেলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, গত দুই বছর থেকে জেলায় বিভিন প্রজাতির কমলা ও মালটার বাগান থেকে ভাল উৎপাদন হচ্ছে। বাজারে ফলের চাহিদা বেশু থাকায় দিন দিন নতুন বাগান তৈরির উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। ফলে ব্যবসার পরিধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা চেষ্টা করছি যাতে আরও উদ্যোক্তা তৈরি হয়।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71