লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন পাটওয়ারী হত্যা মামলায় সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান একেএম ফরিদ উদ্দিনসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আলাউদ্দিন হত্যার মামলায় ফরিদসহ ৫ অভিযুক্ত উচ্চ আদালত থেকে ৬ মাসের জামিন নেন।
নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ায় তারা লক্ষ্মীপুর জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় আরও ৩ আসামি কারাগারে রয়েছেন।
গ্রেপ্তার ফরিদ জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তিনি নিজ নামে ফরিদ বাহিনী গঠন করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, সদর (পশ্চিম) উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল গণি, যুদবল নেতা আক্তার হোসেন, শিপন ও পারভেজ। তারা যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বে রয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন তার ছেলে মেহেদি হাসান আকাশ বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এজাহারভূক্ত আসামি জাবেদ, সাইফুল ও সুমন নামে তিনজন কারাগারে রয়েছে।
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবদুল আলিম হুমায়ুন বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফরিদসহ আমাদের নেতাকর্মীদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল নিয়ে তাদের লোকজনই আলাউদ্দিনকে হত্যা করে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমাদের নেতাকর্মীদের ফাঁসানোর জন্য মামলায় জড়ানো হয়েছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী হাছিবুর রহমান বলেন, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা। ফরিদ ও গণিসহ গ্রেপ্তারকৃতরা কেউই হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়। আমরা উচ্চ আদালতে তাদের জামিন আবেদন করবো। উচ্চ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করবেন বলে আমরা আশাবাদী।