ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মো. কাউসার (৩৮) নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ইন্তাজ মোল্লা ডাঙ্গী বালুরচর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার এম কে ডাঙ্গী গ্রামের জালাল খানের ছেলে। তিনি বালু ব্যবসা করতেন। এ ব্যাপারে চর হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের আট নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কুদ্দুস মণ্ডল জানান, সকাল ১০টার দিকে ওই গ্রামের কয়েকজন নারী পদ্মা নদীতে পানি আনতে গেলে কাওসারের মরদেহটি বালুর স্তুপের উপর পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে ওই নারীরা বিষয়টি তাকে জানালে তিনি চরভদ্রাসন থানায় খবর দেন। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান পিপিএম (সেবা), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, চরভদ্রাসন থানা অফিসার ইনচার্জ মিন্টু মণ্ডল ও পিবিআই’র সদস্যবৃন্দ। নিহতের ভাই লিয়াকত খান (২৭) জানান, গত শুক্রবার দুপুরে খাবার খেয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কাওছার। রাত নয়টার দিকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে কোনো খবর জানা যায়নি। কাওসার রাতে ফিরবে এমন আশা করে সারা রাত ঘরের দরজা খোলা রাখা হয়। কিন্তু তিনি ফিরে আসেননি। সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মণ্ডল জানান, উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের ইন্তাজ মোল্লা ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মা নদীর তীরের বালুচরে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, অন্য কোনো জায়গায় গলাকেটে হত্যা করে মরদেহ ওই স্থানে মরদেহ ফেলে রেখে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান (পিপিএম সেবা) বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমরা মরদেহ শনাক্ত করতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে নিহতের পরিবারের লোকজন আসছে। দেখে মনে হচ্ছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। লাশ সুরতহালের পর এই ঘটনায় জড়িতদের তা খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।