ইন্দোনেশিয়ার জাভায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার দুদিন পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সিয়ানজুতে ধসে পড়া একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপ তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, সিয়ানজুতে ধসে পড়া বাড়ি থেকে ৬ বছরী আজকা মাওলানা মালিক নামের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সময় শিশুটির পাশ থেকে তার দাদীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ম্যাট্রেসের কারণে ওই শিশু সুরক্ষিত ছিল।
স্থানীয় ফয়ার ডিপার্টমেন্টের অনলাইনে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারী দল আজকা মাওলানা মালিককে নিরাপদে তুলে এনেছে। এ সময় তাকে শান্ত দেখা যায়।
উদ্ধার হওয়া শিশুটির নিকটাত্মীয় সালমান আল ফারিসি বলেন, ‘আজকা এখন ভালো আছে। সে ক্ষুধার্ত থাকায় একটু দুর্বল হয়ে পড়েছে, এমনটা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ’
২২ বছরী ফারিসি বলেন, ‘সোমবারের ভূমিকম্পে আজকার মা মারা গেছে। আজকা বাড়িতে ফিরতে চাচ্ছে। ঘুমের ঘোরে সে তার মাকে খুঁজছে। ’
সোমবারের ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ায় এখন পর্যন্ত ২৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। তবে ভারী বৃষ্টিপাত ও রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় অনেক স্থানে যেতে পারছে না উদ্ধারকারীরা। ইন্দোনেশিয়ার জনবসতিপূর্ণ জাভা অঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পে এখনও প্রায় ৪০ জন নিখোঁজ এবং দুই হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।
‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’ এ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। গত ফেব্রুয়ারিতে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১ সালের ভূমিকম্পে ১০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আর ২০০৪ সালে দেশটির উত্তরে সুমাত্রা দ্বীপের কাছে ৯ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয় এবং এর ফলে সুনামি আঘাত হানে ১৪টি দেশে। ভারত মহাসাগরের উপকূলে ২ লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায় সে সময়। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল ইন্দোনেশিয়ার।