জেরুজালেমের দুটি বাস স্টপেজে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবারের (২৩ নভেম্বর) এসব বিস্ফোরণে ১৫ জনের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।
এই বিস্ফোরণের জন্য ফিলিস্তিনিদের দায়ী করছে ইসরায়েলের পুলিশ।
তবে হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের শহর নাবলুসে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ১৬ বছর বয়সী একজন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই বিস্ফোরণের এসব ঘটনা ঘটে।
বিবিসি বলছে, জেরুজালেম শহরের পশ্চিম প্রবেশ পথের একটি ইসরায়েলি বাস স্টপেজে সকাল ৭টার দিকে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। ওই সময় বাস স্টপেজটি সাধারণ মানুষে পরিপূর্ণ ছিল। প্রথম বিস্ফোরণে ১১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে উত্তর জেরুজালেমের রামোট বাস স্টপেজে। সেখানের বিস্ফোরণে তিন জন আহত হয়েছেন।
রামোট থেকে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিনিধি এলান ফিশার জানিয়েছেন, পৃথক দুটি স্থানে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ হয়েছে। বহু বছর পর জেরুজালেমে এমনটা দেখা গেল।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের বিশ্বাস, প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটেছে একটি সাইকেল থেকে। ওই সাইকেলটি বাস স্টপেজে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ’
বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থালে থাকা চিকিৎসক হাইম গাবে বলেন, ‘বিস্ফোরণ স্থলের সর্বত্র ক্ষতি হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ’
এ দিকে বিস্ফোরণের পরই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৈঠকে বসে। পরে তারা জেনিন এলকার জালামেহ ও সালেম চেক পয়েন্ট বন্ধ করার ঘোষণা দেয়।
গত বছর থেকে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে উত্তেজনা বাড়ছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এমনকি অবৈধভাবে বসতি স্থাপনও বাড়াচ্ছে দখলদার দেশটি। অন্যদিকে আগের তুলনায় সশস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে ফিলিস্তিনিরা।
চলতি বছরে ২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী; যার মধ্যে ৫০ জনই শিশু। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের হামলায় মারা গেছে ২৫ ইসরায়েলি।