সদ্য পুনরুদ্ধার হওয়া খেরসন থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ইউক্রেন। একইসঙ্গে মাইকোলাইভের বাসিন্দাদেরও সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মূলত শীত থেকে রক্ষায় এমনটি করছে ইউক্রেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, ইউক্রেনে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন ছেড়েছে রুশ বাহিনী। তবে এরপর থেকেই দেশটির জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। এর জেরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ছে ইউক্রেনীয়রা। আর ইতোমধ্যে শীত পড়তে শুরু করেছে। শীতের হাত থেকে জনগণদের রক্ষায় খেরসন ও মাইকোলাইভের বাসিন্দাদেরও সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ইউক্রেনের উপ প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক বলেছেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের দুই শহরের বাসিন্দাদের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলের নিরাপদ এলাকায় চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপদে স্থানান্তরের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি ওইসব অঞ্চলে তাদের জন্য বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। ’
গত সপ্তাহে খেরসন ছেড়েছে রুশ বাহিনী। এরপরেই অঞ্চলটির দখলে নেয় ইউক্রেনীয় বাহিনী। এর সপ্তাহখানেক পরেই ইউক্রেন সরকার থেকে এমন পদক্ষেপ এলো।
গার্ডিয়ান বলছে, শীতকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। এসব হামলায় ইউক্রেন যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, এবারের পদক্ষেপে তা বুঝা যাচ্ছে।
বিশ্বের অন্যতম একটি শীতপ্রধান দেশ হলো ইউক্রেন। শীতকালে দেশটিতে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও অন্যান্য শহরে তুষারপাত হয়েছে।
ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনায় বাধ্য করতে ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এখন দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার হামলায় তাদের ৫০ ভাগ জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।