ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে। সেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক হয়েছে। সোমবারের (১৪ নভেম্বর) এ বৈঠকে চীনের সঙ্গে নতুন কোনো স্নায়ু যুদ্ধ হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সমঝোতামূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে কোনো স্নায়ু যুদ্ধ হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। একইসঙ্গে বাইডেন মনে করছেন, তাইওয়ানে কোনো ধরণের আগ্রাসন চালাবে না চীন।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন বাইডেন। জি-২০ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো এই দুই বিশ্ব নেতা বৈঠকে বসলেন। বালিতে হওয়া বৈঠকে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও এ দুজন কথা বলেছেন।
বিবিসি বলছে, তিন ঘণ্টারে এই বৈঠক বালির একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শি হোটেলে প্রবেশের পরেই দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠক শুরু হয়।
তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। বেইজিংয়ের দাবি, স্ব-শাসিত দ্বীপটি (তাইওয়ান) যুক্তরাষ্ট্রকে মিত্র হিসাবে গণ্য করে এবং এটি সবসময়ই দুদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা ছিল।
গত আগস্টে তাইওয়ান সফরে যান মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এরপরেই দ্বীপটি ঘিরে উত্তেজনা বেড়ে যায়। দ্বীপটির চারপাশে বৃহৎ আকারে সামরিক মহড়া চালায় চীন। এতে করে বিশ্বের দুই সুপার পাওয়ার দেশের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাতের শঙ্কা জাগে।
সোমাবারের বৈঠকের পর সাংবাদিকরা বাইডেনকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে স্নায়ু যুদ্ধ চলছে এমনটি কি আপনি বিশ্বাস করেন? জবাবে বাইডেন বলেন, ‘আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করি, নতুন কোনো স্নায়ু যুদ্ধের প্রয়োজন নেই। আমি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে অনেকবার দেখা করেছি এবং আমরা বৈঠকজুড়ে একে অপরের সঙ্গে অকপট ও পরিষ্কার ছিলাম। আমি মনে করি না, চীনের পক্ষ থেকে তাইওয়ানে আগ্রাসনের কোনো আসন্ন প্রচেষ্টা আছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ক্রস-স্ট্রেট (চীন-তাইওয়ানের সম্পর্ক) সমস্যাগুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চাই, এটি তাদের স্পষ্ট করা হয়েছে। আমি যা বলেছি তিনি তা বুঝেছেন এটা নিশ্চিত। তিনি যা বলেছেন তা আমি বুঝতে পেরেছি। ’
‘সমস্যা সমাধানে আমাদের দুই সরকারের মূল স্তরে সংলাপ হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শিগগিরই চীন সফর করবেন,’ যোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বাইডেন আরও বলেন, ‘তাইওয়ান নিয়ে আমাদের পলিসির কোনো পরিবর্তন হবে না। শি কে আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি, তাদের (তাইওয়ান) নিয়ে আমরা যে অবস্থানে ছিলাম সেখানেই থাকবো। চীন যদি কখনও আক্রমণ করে তাহলে আমরা তাইওয়ানকে রক্ষা করবো। ’