দিনাজপুরে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রির লাইনে রাত থেকেই দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। ভোক্তাদের মধ্যে এসব পণ্য কেনার প্রতিযোগিতা চলছে। প্রতিদিন প্রায় সব ডিলার পয়েন্টেই দ্বিগুনেরও বেশি মানুষ ভিড় করছেন। বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি ওএমএস-এর মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা।
আর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খোলাবাজারে চাল বিক্রির কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে স্বচ্ছভাবে।
রোববার (১৩ নভেম্বর) রাত ১১টায় দিনাজপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উপশহর এলাকার ওএমএস ডিলার পয়েন্টের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার একটি গাছতলায় হাতে ব্যাগ নিয়ে বসে আছেন এক বৃদ্ধা। স্বামীকে নিয়ে এসেছেন সন্ধ্যা সাতটায়। পরদিন সকালে নেবেন চাল কিংবা আটা। তারা জানান, একদিন আগে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেক সময় ভাগ্যে জোটে না চাল আটা।
জেলার প্রতিটি ওএমএস ডিলার পয়েন্টে এক মেট্রিক টন চাল এবং এক মেট্রিক টন আটা ২০০ মানুষের জন্য বরাদ্দ থাকলেও ভোক্তা হয় দ্বিগুনের বেশি। তাই দীর্ঘ সময় ব্যয় করেও খালি হাতেই বেশির ভাগ মানুষকে ফিরে যেতে হয়। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির দিনে ওএমএস-এর লাইনে এখন নিম্ন-মধ্যবিত্তসহ মধ্যবিত্তরাও দাঁড়াচ্ছেন। এ জেলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।
এদিকে ওএমএস ডিলাররা বলছেন, প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ চাল ও আটা ক্রয়ের জন্য লাইনে দাঁড়ায়। তবে সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই ডিলার বৃদ্ধির করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
দিনাজপুরে প্রতিটি ডিলার পয়েন্টে স্বচ্ছভাবে চাল-আটা বিক্রি জন্য একজন করে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। তবে বরাদ্দ বাড়াতে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে নিতিমালা প্রদান করা হয় বলে জানান দিনাজপুরের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন।
দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় মোট ৪৮টি ডিলার পয়েন্টে জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ৩০টাকা কেজি ও ৫ কেজি আটা ১৮টাকা কেজি দরে ক্রয় করছেন। বর্তমান বাজার দরে প্রতিজনের সাশ্রয় হয় ৩০০টাকা পর্যন্ত।