মুম্বাইয়ের একটি কল সেন্টারে কাজ করতেন ২৬ বছর বয়সী শ্রদ্ধা। সেখানে তার পরিচয় হয় আফতাব আমীন পুনাওয়ালার সঙ্গে। কিছুদিন ডেটিংয়ের পর একত্রে বসবাস করা শুরু করেন তার। শ্রদ্ধার পরিবার এ সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় দিল্লিতে পালিয়ে যান।
থাকতে শুরু করেন মেহরাউলির একটি ফ্ল্যাটে।
এক পর্যায়ে পরিবারের সাথে ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শ্রদ্ধা। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে ৮ নভেম্বর দিল্লিতে আসেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মাদান। ফ্লাট তালাবন্ধ পেয়ে সাহায্য নেন পুলিশের।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার প্রেমিক আফতাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, শ্রদ্ধা তাকে বিয়ে করতে বলত। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো তাদের মধ্যে। এক পর্যায়ে ১৮ই মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। পরে তার মরদেহকে ৩৫ টুকরো করেন তিনি। নতুন একটি ফ্রিজ কিনে এনে তাতে শ্রদ্ধার মরদেহ রাখেন। হত্যার পরবর্তী ১৮ দিন মধ্যরাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে মরদহের টুকরোগুলো ফেলে আসেন তিনি।
পুলিশ এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। শ্রদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করতেও কাজ করছে পুলিশ।