রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জার্মানির বালির্নের ব্রিটিশ দূতাবাসে কাজ করা এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মস্কোর কাছে গোপন তথ্য পাচারের বিষয়টি স্বীকার করেছে ওই ব্রিটিশ নাগরিক। এমনকি অফিসিয়াল সিক্রেট আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ব্রিটিশ দূতাবাসের সাবেক ওই কর্মীকে। খবর আল-জাজিরার।
কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, রাশিয়ার জন্য দরকারি, এমন গোপন তথ্য পাচার করেছিল জার্মানে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবসের ওই কর্মী। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে আটটি অপরাধের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ডেভিড ব্যালানটাইন স্মিথ নামের ওই ব্রিটিশ নাগরিক জার্মানির পটসডামে থাকতেন ও বার্লিনের দূতাবাসে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতো। ২০২১ সালের আগস্টে জার্মান পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে জার্মানি থেকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয় তাকে।
গত ৪ নভেম্বর ৫৮ বছর বয়সী ওই ব্রিটিশ নাগরিককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তবে শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
আল-জাজিরা বলছে, ব্রিটিশ বিচারক মার্ক ওয়ালের আদালত স্মিথকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়। তাকে মোট আটটি আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ থাকলেও স্মিথের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা চালানো হবে না বলে জানিয়েছে প্রসিকিউটরা। তবে এখনও স্মিথের সাজার বিষয়ে কোনো রায় দেয়নি আদালত।
প্রসিকিউটররা বলছেন, স্মিথ ব্রিটেন এবং এর দূতাবাসের প্রতি ঘৃণার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল। তিনি রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্রভূমি ছিল বার্লিন। গোপনীয় তথ্য-উপাত্তের খোঁজে সড়ক ও গলিতে গোয়েন্দাদের সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। এরপর ঠান্ডাযুদ্ধের অবসান হলে গোয়েন্দা তথ্য আহরণের কৌশল বদলে গেছে। এখন প্রায়ই সাইবার-গোয়েন্দাবৃত্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু গুপ্তচরবৃত্তির পুরনো কৌশল এখনও রয়ে গেছে। গোয়েন্দারা এখনো সেই সব লোককে খুঁজে বেড়ান, যাদের কাছ থেকে স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নেওয়া যাবে। এছাড়া বার্লিনে দূতাবাসগুলো গুপ্তচরবৃত্তির মূল নিশানা হয়ে আসছে।