বেতন বৃদ্ধির দাবিতে যুক্তরাজ্যের প্রায় ১০ হাজার নার্স ধর্মঘটে যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমনটা ঘটতে যাচ্ছে। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, অর্থনৈতিক সংকটে থাকা যুক্তরাজ্যের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে।
এর জেরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ধর্মঘটে যাচ্ছেন দেশটির নার্সরা।
বুধবার (৯ নভেম্বর) রয়্যাল কলেজ অফ নার্সিং (আরসিএন) জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) বেশিরভাগ নার্সরা ধর্মঘটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
৩০ হাজারের বেশি সদস্যের এই সংগঠন বলছে, ১০৬ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ধর্মঘটে যাচ্ছে নার্সরা।
এক বিবৃতিতে আরসিএনের জেনারেল সেক্রেটারি প্যাট কুলিন বলেন, ‘ক্ষোভ ধর্মঘটে পরিণত হয়েছে-আমাদের সদস্যরা বলছেন, যথেষ্ট হয়েছে। এই পদক্ষেপটি রোগীদের জন্য ততটা হবে যতটা নার্সদের জন্য। ’
আরসিএনের তথ্যানুযায়ী, গত ১০ বছরে নার্সদের বেতন তুলনামূলকভাবে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এতে পরিবারের খাওয়ার খরচ ও বিল পরিশোধের জন্য সংগ্রাম করছেন নার্সরা।
নার্সদের এই সংগঠন মূল্যস্ফীতির চেয়ে ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির জন্য বলছে।
গত সেপ্টেম্বরে এনএইচএসের কর্মকর্তারা নার্সদের দুরবস্থার কথা জানিয়েছিলেন। ওই সময় তারা বলেছিল, বাচ্চাদের খাওয়াতে ও পোশাকের জন্য একবেলা না খেয়ে থাকছেন নার্সরা। এমনকি ক্রমবর্ধমান পরিবহন খরচ বহন করতে লড়াই করতে হচ্ছে তাদের।
এনএইচএসের তথ্য মতে, যুক্তরাজ্যের প্রতি চারটির মধ্যে একটি হাসপাতালে ফুড ব্যাংক রয়েছে। যার মাধ্যমে তারা কর্মচারীদের সহযোগিতা করে।
চলতি বছরে বেশ কয়েকটি ধর্মঘট দেখেছে যুক্তরাজ্য সরকার। এসবের মূলে ছিল বেতন বৃদ্ধি। বর্তমানে দেশটির মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশে চলমান রয়েছে। এমতবস্থায় বাড়তি খরচে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে যুক্তরাজ্যের কর্মজীবীদের।
নার্সদের এই ধর্মঘটে যুক্তরাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যাপকভাবে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।