ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আট মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত উভয়পক্ষের দুই লাখ সৈন্য হতাহতের শিকার হয়েছেন। এক ঊর্ধ্বতন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
মার্কিন জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলিও বলেছেন, ‘যুদ্ধে দুপক্ষেরই এক লাখ করে সৈন্য নিহত কিংবা আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া মারা গেছে ৪০ হাজার বেসামরিক নাগরিক। ’
নিহত বা আহতের বিষয়টি এখন পর্যন্ত অনেক পশ্চিমা কর্মকর্তারা হতাহতের বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে এত বেশি সংখ্যাক সৈন্যর হতাহতের কথা বলেনি কেউ।
জেনারেল মার্ক মিলিও বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধে মস্কোর সঙ্গে এখনও আলোচনার জন্য প্রস্তুত কিয়েভ। এমনকি তারা প্রস্তাবও দিয়েছে। ’
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেন রাশিয়ার আলোচনা চলছে। এ নিয়ে ইঙ্গিতও দিয়েছে কিয়েভ। তবে তাদের দাবি, আলোচনার আগেই দখলকৃত অঞ্চল ছাড়তে হবে রুশ বাহিনীকে।
আলোচনা নিয়ে জেনারেল মিলি বলেন, ‘আলোচনা সফল হওয়ার জন্য, রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়কেই একটি পারস্পরিক স্বীকৃতিতে পৌঁছাতে হবে। যুদ্ধকালীন বিজয় সম্ভবত সামরিক উপায়ে অর্জন করা যায় না এটা তাদের বুঝতে হবে এবং আলোচনায় ফিরে আসতে হবে। ’
জো বাইডেনের সিনিয়র সামরিক উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করা মিলি বলেন, ‘হতাহতের পরিমাণ মস্কো ও কিয়েভকে আসন্ন শীতের মাসগুলোতে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বোঝাতে পারে। এই শীতে লড়াই ধীর হয়ে যাবে। ’
এর আগে গত সোমবারের রাতের ভাষণে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওই সময় জেলেনস্কি রুশ হামলার জন্য ক্ষতিপূরণ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান। এরপরেই আলোচনার কথা জানান ইউক্রেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এন্ড ডিফেন্স কাউন্সিলের প্রধান ওলেক্সি দানিলভ।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউক্রেনের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কিয়েভকে আলোচনায় বসার জন্য সংকেত দিয়েছে। এ প্রতিবেদনের পর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়।