যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোটাভুটি শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনার কাজ। এরই মধ্যে বিভিন্ন আসনের ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে; যার মধ্যে প্রতিনিধি পরিষদ অর্থাৎ নিম্নকক্ষে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে রিপাবলিকানরা। অন্যদিকে সিনেট বা উচ্চকক্ষে চলছে তুমুল লড়াই।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির তথ্যানুসারে, বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত সিনেটে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটরা পেয়েছেন ৪৩টি আসন। অন্যদিকে রিপাবলিকানরা পেয়েছে ৪৫টি। যে কোনো দল ৫০টি আসন পেলেই জয়ী হবেন।
অন্যদিকে প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের মধ্যে রিপাবলিকানদের ১৬০টির বিপরীতে ডেমোক্রেটরা পেয়েছেন ১০৩টি আসন।
তবে মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্পূর্ণ ফলাফল পেতে আরও কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকেরা। নির্বাচনের আগে থেকেই বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে প্রতিনিধি পরিষদের ক্ষমতা নিবে রিপাবলিকানরা।
প্রতি চার বছর অন্তর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের দুই বছরের মাথায় অনুষ্ঠিত হয় মধ্যবর্তী নির্বাচন।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে দুজন সিনেটর থাকেন। যারা ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হন। রিপ্রেজেন্টেটিভরা নির্বাচিত হন দুই বছরের জন্য এবং ছোট জেলাগুলোর প্রতিনিধিত্ব করেন। বিগত দুই বছর ধরে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে ডেমোক্র্যাটরা। এর ফলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য যে কোনো আইন পাস করা সহজ হয়েছে।
কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে সেই সুযোগ আর থাকবে না ডেমোক্র্যাটদের। ফলে ক্ষমতা অনেকটাই হারাবেন বাইডেন। প্রতিনিধি পরিষদ অথবা সিনেটের কোনো একটিতেও যদি ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের মুঠি আলগা হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী দুই বছর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে দেশ চালনো বেশ মুশকিল হবে।
কারণ এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা। কারণ কংগ্রেস ভবনে হামলার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করে কংগ্রেসে যে তদন্ত চলছে প্রতিনিধি পরিষদ-নিম্নকক্ষে রিপাবলিকানরা নিয়ন্ত্রণ পেলে তারা এই তদন্ত বাতিল করতে পারে। এখানেই শেষ নয়, প্রতিনিধি পরিষদে ন্যান্সি পেলোসির জায়গায় স্পিকার হতে পারেন রিপাবলিকান কেভিন ম্যাকার্থি।