স্মরণকালের ভয়াবহ তাপদাহ দেখেছে ইউরোপ। আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়েছিল নদনদীর পানি, দেখা দিয়েছিল খরার। এই তাপদাহে ইউরোপে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।
খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, তীব্র গরমে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ইউরোপের ১৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্পেন ও জার্মানি।
চলতি বছরের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত অর্থাৎ এই তিন মাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছে ইউরোপবাসী। এই উচ্চ তাপমাত্রা মধ্যযুগের পর থেকে মহাদেশটিকে সবচেয়ে খারাপ খরার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ডাব্লিউএইচওর ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক হানস ক্লুজ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দেশগুলো যে তথ্য জমা দিয়েছে তার ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে, গ্রীষ্মের তিন মাসে তীব্র গরমে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। এর মধ্যে স্পেনে প্রায় ৪ হাজার, পুর্তগালে ৫ হাজারের বেশি, যুক্তরাজ্যে ৩ হাজার ২০০ জনেরও বেশি এবং জার্মানিতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ’
মৃত্যুর এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন হানস ক্লুজ। তিনি বলেন, ‘সবকটি দেশ এখনও তথ্য প্রদান করেনি। সবাই দিলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ’
এনডিটিভি বলছে, ঐতিহাসিক এই শুষ্ক মৌসুমে রেকর্ড দাবানল আরও বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপে ফসল উৎপাদন কমে গেছে এবং মহাদেশের পাওয়ার গ্রিডে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করেছে। তীব্র গরমে যুক্তরাজ্যের তাপমাত্রা রেকর্ড ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে গিয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, বাড়তি তাপের ফলে সৃষ্ট চাপে যখন শরীর নিজেকে ঠাণ্ডা করতে পারে না তখন একজন ব্যক্তি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় এবং এটিই ইউরোপীয় অঞ্চলে আবহাওয়া সংক্রান্ত মৃত্যুর প্রধান কারণ।