বগুড়া, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও জেলায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে ১৫ দিনের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। অপর এক আদেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে এই চার জেলার অবৈধ ইটভাটার তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
রুলে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে বিবাদীদের নিশ্চয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ইটভাটা প্রস্তুত আইনের ধারা ৪, ৮, ১৪ এবং ১৮ অনুসারে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদফতর, চার জেলার ডিসি ও এসপিসহ ২৪ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মনজিল মোরসেদ বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন অনুসারে লাইসেন্স ব্যতিত কোনও ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবে না। এমন বিধান থাকলেও শীত মৌসুমকে সামনে রেখে কয়েকটি জেলায় অবৈধ ইটভাটাগুলোতে কার্যক্রম শুরু করছে মর্মে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনগুলো যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে গত ৬ নভেম্বর একটি রিট দায়ের করি। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।