বাংলাদেশ পুলিশের মহা পরিদর্শক(আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন,আমি সুনামগঞ্জের হাওরপাড়ের সন্তান,আমি এই হাওরের মাটির সাথে পানির মাঝে বড় হয়েছি,ঢেউয়ের মাঝে সাতাঁর শিখেছি।
আমরা ঝড় বৃষ্টির সাথে লড়াই করে বড় হয়েছি। এই সুনামগঞ্জের মানুষ সংগ্রামি মানুষ তাদের সাথে আমি এক সাথে বড় হয়েছি। নদীর কাছে আসলে ছোটবেলা যখন ঝড় বৃষ্টি বাতাস আসত তখন কৈশোরকে মনে করিয়ে দিত, যে আমি এখন মায়ের কাছে এসেছি মাটির কাছে এসেছি, এটা ছিল নিসন্দেহে একটা অন্যরকম অনুভূতি। আমি সুনামগঞ্জকে কখনো ভূলতে পারব না হয়তো বা আমি ছোট হই আর বড়ই হই আমি সুনামগঞ্জের সন্তান হিসেবে এই জেলাবাসীর ভালবাসায় হয়তো আজকে পুলিশের সর্বোচ্ছ পদে আসীন হতে পেরেছি।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,তিনি আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি যেন সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি সেই দোয়া কামনা করেন। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী একটা পেশাদার বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জঙ্গীব্দা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে জিরো ট্রলারেন্সের নীতি, সেই নীতির আলোকেই আমরা প্রতিটি পুলিশ সদস্যরা পেশাদারিত্ব পালন করছি। জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসবাদ হলি-আট্রিজেনের আগে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে যখন জঙ্গীবাদি কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে তবে সর্বশেষ হলি-আট্রিজেনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
হলি-আট্রিজেনের ঘটনার আগে ছোটখাটো ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তবে হলি-আট্রিজেনের ঘটনাটাই সর্বশেষ বলে তিনি দাবী করেন। তিনি আরো বলেন,প্রধানমন্ত্রীর জিরো ট্রলারেন্সের নীতির কারণে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী,র্যাব,বিজিবিসহ সকল আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা একই ফ্ল্যাটফর্মে আসার কারণেই দেশে জঙ্গীবাদ দমন সম্ভব হয়েছে। স্বরাষ্টমন্ত্রীর নির্দেশনায়,জেলা,উপজেলা প্রশাসন ও দেশের মানুষের সহযোগিতায় জঙ্গীবাদ নির্মূলে পরিপূর্ণভাবে সফল হয়েছেন বলে জানান।
পুলিশ একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে স্থানীয় নির্বাচন হোক আর জাতীয় সংসদ নির্বাচন হোক আমরা পেশাগত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে বদ্ধপরিকর এবং বর্তমানে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি যেভাবে নিয়ন্ত্রনে আছে আগামীতেও থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন জঙ্গীরা যখন হামলার পরিকল্পনা হাতে নেয় তার আগেই আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ইনফরমেশন পেয়ে তাদের পরিকল্পনা নস্যাত করে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবী করেন।
তিনি আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ শহরের ওয়েজখালীস্থ পুলিশ লাইনে এসে ক্রীড়া কমপ্লেক্স ভবণের উদ্বোধন পরবর্তী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের আইজিপি(ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন(বিপিএম বার) এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলে সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ,,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ,পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ইন সার্ভিসের এসপি নিকুলিন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম) মো. আবু সাঈদ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(মিডিয়া) সুমন মিয়া ও সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।