পটুয়াখালীর গলাচিপায় মিথ্যা মামলা নিয়ে আজও পথে পথে ঘুরছে শহীদ সিকদার (৫৫) নামের একজন গরীব জেলে। শহীদ সিকদার হচ্ছেন গলাচিপা পৌরসভার শ্যামলীবাগ ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাদের সিকদারের ছেলে। বাবা কাদের সিকদারের মৃত্যুর পরে সংসার হাল ধরতে এই জেলে পেশা বেছে নেয় শহীদ সিকদার। কিন্তু ভাগ্য তার সহায় হয় না।
বিভিন্ন চক্রান্তের কারণে মিথ্যা মামলা তার পিছু ছাড়ছে না। ঝালকাঠিতে এক মিথ্যা মামলায় ১৪ মাস জেল হাজতে থেকে গত ৬ মাস পূর্বে বাড়িতে আসেন। কিন্তু কি ছিল তার অপরাধ তা তিনি নিজেও জানতেন না। এনামে বেনামে তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা। গরীব বলে কেউ তার খোঁজ খবর বা সুপারিশও করছে না।
পরে তিনি বুঝতে পারেন তার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির উপর পড়েছে মানুষের কুনজর। আর এই সম্পত্তি গ্রাস করার জন্যই তার নামে বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা মামলা দিয়ে জর্জরিত করছে।
এ বিষয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে জেলে শহীদ সিকদার জানান, আমার বাবার সম্পত্তি দখলে নেওয়ার জন্য আমার নামে এনামে বেনামে মিথ্যা মামলা দিয়ে রেখেছে প্রতিপক্ষরা। আমি ঝালকাঠিতে ১৪ মাস জেলে থাকা অবস্থায় আমার জাল সাভার সহ সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা। তাদের ভয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমাকে ও আমার অসহায় ভাইদেরকে তারা হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হত দরিদ্র বান্ধব সরকার।
আমি তার সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। তার হস্তক্ষেপে আমি মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই। এ বিষয়ে জেলে আবুল কালাম সিকদার জানান, শহীদ সিকদার ছোট বেলা থেকেই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। মিথ্যা মামলার কারণে সে আজ পথে বসে গেছে। গলাচিপা উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ধলা মাঝি বলেন, অসহায় জেলে মানুষ শহীদকে মিথ্যা মামলা দেওয়া সে আজ দেউলিয়া।