নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে আবারও মুখোশধারী দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি প্রাত: শাখার ছাত্রী আহত হয়েছে।
রোববার সকাল ১১টায় স্কুল ছুটির পর মাইজদী শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর স্থানীয় বছিরার দোকান পাশে কোচিং করতে যাওয়ার পথে বছিরের দোকানের দক্ষিণ পাশে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীর নাম জান্নাতী মায়মুনা নিহারীকা (১১)।
তিনি সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের জাহানাবাদ এলাকার জাগিদার বাড়ির রিয়াজ মাহমুদের মেয়ে।
ছাত্রীর মা রোমানা আক্তার সাথী জানান, ‘স্কুল ছুটি হওয়ার পর প্রাইভেট পড়তে শিক্ষকের বাসায় যাওয়ার পথে লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বছিরের দোকানের দক্ষিণ পাশে আইসিএল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সামনে মোটরসাইকেলে করে মুখোশধারী কিছু লোক নিহারীকার বাম হাতের কব্জিতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। ’
২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদ হাসান বলেন, মেয়েটির বাম
হাতের কব্জিতে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার হাতে চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ২২শে সেপ্টেম্বর নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থীকে বাসায় ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে জবাই করে হত্যা করে। গত ৪০ দিনের ব্যবধানে কলেজ ছাত্র খুন ও স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে খুন ও আরেক বাড়ি যাওয়ার পথে স্কুল শিক্ষার্থীকে গলায় ছোরা দিয়ে আঘাতসহ বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক কিশোর গ্যাংদের এসকল ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
প্রশাসন বলছে, কিশোর গ্যাং এর অপরাধ দমনে পুলিশ তৎপর। স্কুল কলেজ এ বিষয়ে মিটিং করা হয়েছে। অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার কথা বলছে পুলিশ।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।