গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বিবেক শাখারীকে হত্যার মমলায় মহানন্দ তালুকদারকে (৪৯) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আমলী আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। এ সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মহানন্দ তালুকদার গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামের পঞ্চানন তালুকদারের ছেলে। আর খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন আনন্দ তালুকদার, স্ত্রী মেনুকা তালুকদার ও স্বপন মৃধা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৯ মে বিবেক শাখারীর স্ত্রী শিবানী রানী শাখারী একটি এনজিও থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ঋণের টাকা স্বামীর কাছে দেন। বিবেকের জুয়া খেলার নেশা ছিল। মহানন্দ তালুকদারসহ আরও কয়েকজন বিবেকের কাছে থাকা ওই ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিতে কৌশলে ডেকে নেন। পরে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে বিবেককে হত্যা করে মরদেহ একটি পাট খেতে ফেলে রাখেন আসামিরা।
পরের দিন ৩০ মে পুলিশ বিবেকের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বিনয় শাখারী বাদী হয়ে ওই দিনই মহানন্দ তালুকদারসহ ৪ জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম পাটোয়ারী ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর ৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক মহানন্দ তালুকদারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি মো. শহিদুজ্জামান খান ও আসামি পক্ষে আইনজীবী শওকত আলী সিকদার মামলা পরিচালনা করেন।