ময়মনসিংহে শুরু হয়েছে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। অভিযোগ উঠেছে, সমাবেশে যোগ দিতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তবে শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সব বাধা উপেক্ষা করেই নেতাকর্মীরা সমাবেশে জড়ো হয়েছেন।
এদিন সকাল থেকেই সমাবেশস্থল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ছাত্রাবাস মাঠ নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকে।
দুপুর ২টার আগেই পুরো মাঠসহ আশেপাশের সড়কে নেতা-কর্মীদের পদচারণায় পূর্ণ হয়ে উঠে। খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সারাদেশেই গণসমাবেশের ডাক দেয় দলটি।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে সুবিশাল মঞ্চে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। আশপাশের জেলা থেকে ট্রলারযোগে ময়মনসিংহ শহরে আসেন, অনেকে আবার দূরদূরান্ত থেকে দীর্ঘপথ হেঁটে, ছোট ছোট যানে ভেঙে ভেঙে শহরে পৌঁছান। এরপর খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন নেতাকর্মীরা। পোস্টার, ফেস্টুন আর ব্যানার হাতে মাঠে অবস্থান করছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা।
সমাবেশকে ঘিরে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ায় বিকল্প উপায়ে সমাবেশে আসছেন নেতাকর্মীরা। বিএনপির কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, গণপরিবহন না চলায় বিভিন্ন ছোট পরিবহনে নগরীর আশেপাশের এলাকায় আসতে বাধ্য হয়েছেন তারা। পরে সেখান থেকে হেঁটে সমাবেশ স্থলে এসেছেন।
সমাবেশের আয়োজক কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ময়মনসিংহে আসার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে অঘোষিত পরিবহণ ধর্মঘট চলছে। মূলত আমাদের নেতা-কর্মীরা যাতে সমাবেশে যোগ দিতে না পারে সে জন্য ময়মনসিংহের অভ্যন্তরীণ রুটে পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। ‘
গত ৬ই অক্টোবর ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি চায় দলটি। তবে প্রশাসন অনুমতি না দিয়ে সমাবেশের জন্য পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্রাবাস মাঠ নির্ধারণ করে দেয়।