রাজধানীর কোথাও কোথাও গ্যাস সংকট বেড়েছে। বাসাবাড়ির পাইপলাইনে দিনের বেশিরভাগ সময় গ্যাস থাকছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সব এলাকার মানুষ। বিকল্প উপায়ে রান্নাবান্না সারতে বাড়ছে সংসার খরচও।বিতরণী প্রতিষ্ঠান তিতাস স্বীকার করেছে, প্রতিটি এলাকায় গ্যাসের সমবণ্টন সম্ভব হচ্ছে না। সরবরাহের স্বল্পতার কথা জানিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, গ্যাস আমদানি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ সংকট কাটবে না।
স্কুল শিক্ষিকা পাপড়ি, থাকেন রামপুরার বৌবাজারে। প্রতিদিনই রান্নার চুলা ধরাতে গিয়ে মুশকিলে পড়েন। রামপুরাসহ আশপাশের অনেক এলাকায় একই অবস্থা। পাইপলাইনের গ্যাসে ভরসা করলে অপেক্ষা করতে হয় সকাল থেকে বিকেল বা সন্ধ্যা পর্যন্ত। তাই অনেক সময় বিকল্প উপায়ে রান্না সারেন তারা। ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সমস্যা তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মগবাজার, মধুবাগ, বাড্ডা ও মিরপুর এলাকায় খোঁজ নিয়ে গ্যাস সংকটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাভিত্তিক এমন গ্যাস সংকটে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল।
চাহিদা সামাল দিতে দেশীয় গ্যাসের সঙ্গে মেশানো হয় বিদেশ থেকে কেনা তরল প্রকৃতিক গ্যাস-এলএনজি। পেট্রোবাংলার হিসেবে গেলো মাসেও নিজস্ব উৎপাদিত প্রায় ২ হাজার ৩শ’ মিলিয়ন ঘনফুটের সঙ্গে ৫ থেকে সাড়ে ৫শ’ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি মিশিয়ে সরবরাহ করা হয়েছে। যা এ মাসে নেমে এসেছে ৩৮০ মিলিয়ন ঘনফুটে।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, চড়া দামের কারণে আগেই স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা বন্ধ হয়েছে। রিজার্ভ ডলারের সংকটে নতুন করে ব্যাহত হচ্ছে কাতার ও ওমানের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তির গ্যাস আমদানিও। তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, পরিত্যাক্ত কূপ অনুসন্ধান করে কিছুটা হলেও গ্যাস উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, আমদানি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ সংকট কাটবে না।