১৫ বছর আগে ঘর বাঁধেন ইমরান-সাহেদা দম্পতি। সংসারের খরচ মেটাতে বিয়ের পাঁচ বছর পরই বিদেশে পাড়ি জমান স্বামী। ১০ বছরে দেশে একবার এলেও
মাসখানেক থেকে ফের চলে যান। বাড়িতে একাকিত্ব জীবন কাটছে স্ত্রীর।নিঃসঙ্গতা কাটাতে প্রতিবেশী কৃষকের সঙ্গে গড়ে তোলেন সম্পর্ক। অবশেষে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরেই পালালেন ৩৫ বছরের এ নারী।
ঘটনাটি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কুমারপট্টি গ্রামের। চারদিন আগে সাহেদা পালিয়ে গেলেও জানাজানি হয় শুক্রবার। ৪০ বছর বয়সী ইমরান মাতুব্বরের বাড়ি কুমারপট্টি গ্রামে। সাহেদার বাড়ি সালথার সোনাপুর নটখোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আলম মোল্যা। তাদের ঘরে দুই সন্তান রয়েছে।
ইমরানের মা নিহারুন বেগম বলেন, ১৫ বছর আগে ইমরানের সঙ্গে সাহেদার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পাঁচ বছর পর ওমানে চলে যায় ইমরান। ১০ বছর ধরে ছেলেটি বিদেশে রয়েছে। এর মধ্যে আড়াই বছর আগে একবার দেশে এসে মাসখানেক ছিল।
জানা গেছে, ইমরান বিদেশে থাকায় প্রতিবেশী ওসমান ব্যাপারীর ছেলে আলম ব্যাপারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী সাহেদা। আলম অবিবাহিত ও কৃষিকাজ করেন। ৪ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে স্বর্ণের জিনিস ও টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন ইমরানের স্ত্রী। এরপর থেকে আলমও বাড়িতে নেই। আলমের সঙ্গেই সাহেদা পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বুধবার থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন ইমরানের মামা লিঠু মোল্যা।
তদন্ত কর্মকর্তা সালথা থানার এসআই আব্দুল বাছেদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।