কুয়াকাটায় পর্যটকের ভিড় বাড়লেই হোটেল-মোটেলে শুরু হয় লাগামহীন বাণিজ্য। কে কত বেশি টাকা হাতিয়ে নিতে পারে যেন সেই প্রতিযোগিতায় নামেন ব্যবসায়ীরা। তবে এসব
দেখার যেন কেউ নেই। এতে করে ঠকছেন পর্যটকরা।অনেকেই বলছেন, দূর-দূরান্ত থেকে ঘুরতে এসে হোটেলের সিট না পেয়ে থাকতে হচ্ছে মানুষের বাসা-বাড়িতে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হোটেল মালিকরা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা থেকে দেখা যায় সূর্যোদয় আর সূর্যস্ত। এছাড়াও সমুদ্রের ঢেউ, সবুজ বনানীর অপার ছোঁয়া আর লাল কাকড়ার অবাধ বিচরণে মুগ্ধ দেশি বিদেশি পর্যটকরা। এক সপ্তাহের টানা ছুটিতে তাই পর্যটকে ঠাসা সাগর পাড়।
খালি নেই কুয়াকাটার হোটেল মোটেলের সিট। একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত ঘুরেও হোটেল কটেজে সিট খালি না পেয়ে কেউ কেউ থাকছেন আশপাশের বাড়িতে। আবার কেউ থাকছেন উপজেলা কিংবা জেলা শহরে গিয়ে। এই সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেন পর্যটকরা।
কথা হয় কয়েকজন হোটেল মালিকের সঙ্গে। তারা বলেন, আগে এই মওসুমে হোটেলে সিট খালি থাকতো। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে পর্যটকের চাপ। তাই নতুন করে হোটেল-মোটেল বাড়ানোর চিন্তা রয়েছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাড়তি ভাড়া নেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কুয়াকাটা জোনের টুরিস্ট পুলিশ অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আবদুল খালেক।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কমে এসেছে ঢাকা-কুয়াকাটার দূরত্ব। আগে যেখানে ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগতো, সেখানে এখন সময় লাগছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা।