রংপুরের পীরগাছায় দেবর রওশন মিয়াকে পিটিয়ে (৩২) হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাবির বিরুদ্ধে। শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের মিরাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রওশন মিয়া ওই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় চৌধুরানী উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্থায়ী পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।তার ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে রওশন মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রওশন একটি মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং বিয়ে করবে বলে জানান। তখন তার ভাবি আরিফা আক্তার ও স্বজনদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই মেয়েটি পালিয়ে যায়। পরে ওই রাতেই রওশন বিষপান করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরদিন রওশন রংপুর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ওই ইউনিয়নের মোংলাকুটি গ্রামে তার বোনের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। পরে শনিবার সকাল ১১টায় তিনি আবারও নিজ বাড়ি মিরাপাড়া গ্রামে যান। এ সময় ভাবি আরিফা আক্তার তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই রওশন মিয়া মারা যান। খবর পেয়ে পীরগাছা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত ভাবি আরিফা আক্তার ও ভাই রতন মিয়াকে আটক করে।
পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল মালেক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভাবি ও ভাই রতন মিয়াকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
রোববার (২ অক্টোবর) দুপুরে তাদের রংপুর জেলা সাব-জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়।