সড়ক দুর্ঘটনায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। প্রতিবছর যে হারে মানুষ সড়কে মারা যাচ্ছে সেই লক্ষ্যে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের কার্যক্রম তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি।
সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্যে গড়মিল রয়েছে দাবি করে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বেসরকারি সংগঠনগুলো গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করে।এ সবই সেকেন্ডারি তথ্য, পূর্ণাঙ্গ তথ্য নয়। সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব বেসরকারি সংগঠনের না। এ প্রতিবেদন সরকারের করা উচিত। দীর্ঘদিন ধরে বলা হলেও সরকার এ প্রতিবেদন তৈরি করছে না।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর ১০ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সড়কে নিহত ও আহত ৫০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রায় পদক্ষেপ গ্রহণ ও কার্যক্রম পরিচালনার রোড সেইফটি কোয়ালিশন কাজ করবে। এসময় সড়ক পরিবহন বিধিমালা দ্রুত জারির দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিবিউটরের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম, কোয়ালিশনের সদস্য সংস্থার পক্ষ থেকে ব্র্যাকের রোড সেইফটি প্রোগ্রাম পরিচালক আহমেদ নাজমুল হুসেইন, বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিচার্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. হাদিউজ্জামান, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) পরিচালক ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর রেজওয়ান নবীন, ইমপ্রেসিভ কমিউনিকেশনস লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসিবুজ্জামান প্রমুখ।