আলোর জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। কেউ মা-বাবা, কেউ স্বামী-সন্তান আবার কেউবা হারিয়েছেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে। পঞ্চগড়ে ট্রলারডু্বিতে যাদের জীবন প্রদীপ নিভে গেছে, তাদের পরিবারে এখন চলছে শোকগাঁথা।
স্থানীয়রাও বলছেন, একসঙ্গে এত মরদেহ এর আগে কখনো দেখেননি তারা।
স্বজন হারানোর শোকে গগণবিদারী কান্না, কেঁদে কেঁদে গলা শুকিয়ে গেছে, তবুও আহাজারি থামছেই না হেমন্ত বর্মনের পরিবারের সদস্যদের। করতোয়া নদীতে নৌকাডুবিতে স্ত্রী, মেয়ে, ঠাকুর বউ এবং দুই নাতনিকে হারিয়েছেন মাড়েয়া ইউনিয়নের এই গৃহকর্তা। শোকে স্তব্ধ হয়ে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন তিনি।
পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি ছিলেন সেন্টু বর্মন। করতোয়ায় নিভে গেছে তার জীবন প্রদীপও। সেন্টুকে হারিয়ে দিশেহারা স্ত্রী, মা ও সন্তান। আর দুই বুকের ধনকে হারিয়েছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মন। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন।
স্বজনহারাদের পরিবারের এই শোকে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ। স্থানীয়রা বলছেন, একসঙ্গে এত লাশ কখনোই দেখেননি তারা।
স্বজন হারানো পরিবরগুলোর পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপঙ্কর রায়।
ট্রলারডুবির এ ঘটনায় এই এলাকায় ফিকে হয়ে গেছে দুর্গোৎসবের রঙ।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় রোববারের (২৫ সেপ্টেম্বর) করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পর্যন্ত ৫৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ও স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন…