সোমবার উত্তর ফিলিপাইনের কুইজোন প্রদেশের বার্দিওস শহর উপকূলে আঘাত হানে শক্তিশালী টাইফুন নোরু। এতে পাঁচজন উদ্ধারকারীর মৃত্যু হয়েছে, এছাড়াও আকস্মিক বন্যা ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে শহরটিতে। ফলে রাজধানী ও বহির্মুখী প্রদেশে ক্লাস ও সরকারি কাজ স্থগিত রেখেছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির আবহাওয়া সংস্থার খবর অনুযায়ী, নোরু একটি সুপার টাইফুন ছিল, যা মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ১৯৫ কিলোমিটার এবং ২৪০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতিতে দমকা হাওয়াসহ কুইজোন প্রদেশের বার্দিওস উপকূলে আছড়ে পড়ে।
উপকূলে আঘাত হানার পর এটি দুর্বল হয়ে পড়ে। তার আগে হাজার হাজার মানুষকে জরুরি আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এসময় পাঁচজন উদ্ধারকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ম্যানিলার উত্তরে বুলাকান প্রদেশের গভর্নর ড্যানিয়েল ফার্নান্দো। তিনি বলেন, ‘পাঁচজন উদ্ধারকারী, যারা বন্যার পানিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের সাহায্য করার জন্য একটি নৌকা ব্যবহার করছিল, পরে একটি ধসে পড়া দেয়ালের আঘাতে তারা প্রচণ্ড জলে ডুবে যায়। তারা জীবিত বীর যারা এই বিপর্যয়ের মধ্যে আমাদের দেশবাসীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছিল। তবে এটি সত্যিই খুব দুঃখজনক। ’
কুইজোনে জোয়ারভাটা, বন্যা এবং ভূমিধসের উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়াও মেট্রোপলিটন ম্যানিলায় তিন হাজারেরও বেশি লোককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর প্রায় ২০টি ঝড় এবং টাইফুন ফিলিপাইনে আঘাত হানে। দ্বীপপুঞ্জটি ‘‘প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার’’-এও অবস্থিত হওয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগ অংশের মতো এই অঞ্চলটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প প্রবণ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনকে বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ-প্রবণ দেশও বলা হয়ে থাকে। এর আগে ২০১৩ সালে টাইফুন হাইয়ানার শিকার হয়ে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছিল ৭ হাজার ৩০০ মানুষের। এছাড়াও বাস্তুচ্যুত হয় ৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ।