খুলনার মহেশ্বরপাশা থেকে নিখোঁজ হওয়া মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা খাতুনকে ফরিদপুরের বোয়ালমারি থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে বোয়ালমারির একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে রহিমা ওই বাড়িতে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকে মাকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্ট্যাটাস দেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান।
ওই বাড়ি থেকে আরও দুজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নারী। রাতেই তাদের নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে দৌলতপুর থানা-পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (নর্থ) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে এ বিষয়ে রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
জানা যায়, ২৭ আগস্ট রাতে খুলনা মহেশ্বরপাশার নিজ বাড়ি থেকে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় মামলা হয়। তখন পুলিশ ও র্যাব ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ১৭ সেপ্টেম্বর মামলাটির তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এদিকে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রহিমা বেগমের মেয়েরা ময়মনসিংহের ফুলপুরে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ ‘নিজেদের মায়ের লাশ’ দাবি করলে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরনের কাপড় দেখে প্রাথমিকভাবে নিজের মায়ের লাশ বলে জানান রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান।
তবে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন উদ্ধার হওয়া নারীর লাশ অর্ধগলিত ছিল দাবি করে লাশের ডিএনএ টেস্ট করার প্রক্রিয়া শুরু করেন।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে দৌলতপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুরের বোয়ালমারিতে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বেচ্ছায় ওই বাড়িতে এতদিন লুকিয়ে ছিলেন বলে পুলিশকে জানান।