নানার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চেয়ে না পাওয়ায় শীল (পাথর) দিয়ে মাথা থেতলিয়ে হত্যা করে কাগজের বাক্স দিয়ে মরদেহ ঢেকে রাখে আবু সালেক হানিক (২৬) নামের এক যুবক। শনিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি হলেন বড়চালা গ্রামের আব্দুল হক মাদবর (৮০)।
অভিযুক্ত নাতি আবু সালেক হানিফ (২৬) একই এলাকার জামাল শিকদারের ছেলে। সে নিহত আব্দুল হকের মেয়ে হুসনে আরার ছেলে।
নিহতের ছেলে হারুন মাদবর জানান, আমার বোনের ছেলে সালেক প্রায়ই আমার বাবার কাছ থেকে টাকা নিতো নেশা করার জন্য। গতকাল সন্ধ্যায় আবারও টাকার জন্য এলে বাবাকে টাকা দিতে নিষেধ করে বাজারে চলে যাই। রাত ৯টার দিকে বাসায় এসে ঘরে ডুকতেই পিছন থেকে আমাকে আঘাত করে হানিফ। এতে আমি মাটিতে পড়ে যাই। পরে গাজীপুর সদস হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসি। পরদিন সকালে আমাকে আঘাত করা সেই শীল খুজতে গিয়ে মেঝেতে রক্ত দেখে বাবার লাশের সন্ধান পাই। আমার ধারণা আমাকে আঘাত করার আগেই সে বাবাকে খুন করেছে।
আহত হারুন মাদবরের মেয়ে হেনা আকতার জানান, আব্বা রাতে বাজার থেকে এসে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘরে ডুকতেই পোতা (শীল) দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আব্বাকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় এসে শুয়ে পড়ি। সকালে বাবাকে আঘাত করা পোতা খোজতে গিয়ে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখতে পাই, একটু সামনে এগোতেই কার্টুনের নিচে দাদার পা দেখা যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। সে স্থানীয় কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য বলেও জানায় হেনা আকতার।
গাজীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আজমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় নাতি সালেক আহমেদকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।