ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী খোকন সিকদারের (৩৫) বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে নৈশপ্রহরী খোকন সিকদারকে আটক করলেও প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন তাকে ছাড়িয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার পর অভিযুক্ত খোকন সিকদারের বিচারের দাবিতে বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়ক একঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা।
পুলিশ ও ছাত্রীর পরিবার জানায়, দপ্তরি খোকন সিকদার পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে প্রতিদিন সকালে প্রাইভেট পড়াতেন। শুক্রবার সকালে বিদ্যালয়ের কক্ষের দরজা আটকে সে এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা করে। ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে খোকন সিকদারকে বিদ্যালয়ের কক্ষের মধ্যেই আটক করে রাখে।
খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত দপ্তরির ভাই জাহাঙ্গির হোসেন সিকদার এসে তাকে লোকজনের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে ওই ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজন বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়ক একঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা অভিযুক্ত দপ্তরিকে আটকের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী নলছিটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম জানান, এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত দপ্তরি পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।