মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নীতি সুদহার বাড়াচ্ছে। এর থেকে বাদ যায়নি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশীল দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মূল্যস্ফীতি
মোকাবেলায় ধাপে ধাপে সুদের হার বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। মূল্যস্ফীতি যুদ্ধে মার্কিন সুদের হার ১৪ বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে নিয়ে গেছে দেশটির
কেন্দ্রীয় ব্যাংক।খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বমুখী মূল্যের লাগাম টানতে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের বাড়িয়েছে; যা ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ফের সুদের বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। সুদের হার শূন্য দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বাড়িয়েছে তারা। এমনকি মূল্যস্ফীতির হারের লক্ষ্যমাত্রা তিন শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশে নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যাংকটি।
ব্যাংকটি বলছে, ঋণ নেয়া বাড়বে এমনটার জন্যই সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যয় কমানো একটি কঠোর অর্থনৈতিক মন্দা হতে পারে এমন উদ্বেগ সত্ত্বেও এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোমে পয়েল বলেন, ‘চাহিদার গতি মন্থর করা, মূল্যবৃদ্ধির চাপ কমানো ও অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি এড়াতে সুদের হার বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। মূল্যস্ফীতিকে আমাদের পেছনে ফেলতে হবে। আমরা সেটিই করতে চাচ্ছি। তবে আমরা ভালো অবস্থানে নেই। ’
বিবিসি বলছে, মূল্যস্ফীতির জন্য বেশিরভাগ দেশেই সুদের হার বাড়ানো হচ্ছে। জাপান ও চীনের মতো দেশও এর থেকে বাদ পড়ছে না। তারা তাদের নিজস্ব মুদ্রাস্ফীতি সমস্যা মোকাবেলায় সুদের হার বাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পরিচালনা পর্ষদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় দেশটিতে ফের সুদের হার বাড়ানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশগুলোও সুদের হার বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত।
সুদের হার বাড়ানো নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্লেষকরা। এতে করে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি মন্দা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা তাদের।
অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের গ্লোবাল ম্যাক্রো রিসার্চের পরিচালক বেন মে বলেন, ‘২০২৩ সালের বিশ্ব অর্থনীতি মহামারির বছর বাদে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে মূল্যস্ফীতি একটা সময়ের জন্য উচ্চ থাকবে। ’