গাজীপুরের শ্রীপুরে বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এমদাদুল হক নামে এক পোশাককর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে। এ দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত এমদাদুল হক ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার মুজাখালী গ্রামের মো. ছিদ্দিকের ছেলে।তিনি ওই এলাকায় ভাড়া থেকে নর্দান ফ্যাশন পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তার স্ত্রী স্থানীয় দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক।
ভিকটিমের বাবা জানান, তিনি ফেরিওয়ালা। তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক। মেয়ে (১৩) বাকপ্রতিবন্ধী। চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুদের সঙ্গে মিশতে মেয়েকে ঈদুল ফিতরের পর স্থানীয় দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি করি। সেখানে ভিকটিম অন্য শিশুদের সঙ্গে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত থাকতো।
তিনি জানান, ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় মাদ্রাসার শিক্ষিকা ফোন করে জানান তার মেয়ে অসুস্থ। রাত ৮টার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখতে পান মেয়ের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ২২ আগস্ট তাকে ময়মনসিংহের ল্যাব সেন্টার হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। আবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহের কমিউনিটি ভেজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, ওই কিশোরী ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিল। ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়। সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেন ডাক্তাররা।
ভিকটিমের বাবা আরও জানান, তার মেয়ে কথা বলতে পারে না। কী করে এমন হলো তা জানতে চাইলে ভিকটিম ইশারায় অভিযুক্ত এমদাদকে শনাক্ত করে। ইশারা ইঙ্গিতে ধর্ষণ করেছে বলে দেখান।
এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা ১৮ সেপ্টেম্বর তেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. শফিকুল ইসলামের কাছে বিচার দাবি করেন। মেম্বার বিষয়টি সমাধান করতে পারেননি। ভিটিমের পরিবারকে তিনি থানায় অভিযোগ করতে বলেন।
১৯ সেপ্টেম্বর ভিকটিমের বাবা শ্রীপুর থানায় এমদাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। স্থানীয়রা এমদাদকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ভিকটিমের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। বুধবার সকালে অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।